বরং হাতে থাকা স্মার্ট ফোনে www.bangladesmuseum.gov.bd/vt/ একটা ক্লিক করলেই বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ৩২টি গ্যালারিতে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেখতে পাবেন।
জাতীয় জাদুঘরের নতুন এ উদ্যোগটিই হলো অনলাইন ভিত্তিক ‘ভার্চুয়াল গ্যালারি- যা মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
উদ্বোধনকালে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর খুব কম দেশ আছে যার হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। আমেরিকান মিউজিয়াম, ব্রিটিশ মিউজিয়াম ধার করা জিনিস নিয়ে বসে আছে। আমাদের মিউজিয়াম ঐতিহ্যের মিউজিয়াম; হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যের মিউজিয়াম।
সুতরাং এ জিনিসটাকে জানতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে- যাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস জন্মে যে, হঠাৎ করে আমরা এ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইনি। হাজার বছরের স্রোতধারার মধ্য আমরা এ পর্যায়ে পৌঁছেছি। আগে আমরা অনেক বড় ছিলাম- এ বিশ্বাসটা আমাদের মধ্যে থাকতে হবে- বলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং ঐতিহ্যকে জানতে হবে- এমন তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে মিউজিয়ামের বিরাট একটা রোল রয়েছে। এই উপমহাদেশের হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ, বিভিন্ন কৃষ্টির মানুষ এক সঙ্গে বসবাস করেছে। আজেকে এখানে যে ধর্মীয় উন্মাদনা হয়েছে বিভিন্ন জায়াগায়, আমরা যদি আমাদের ঐতিহ্যে ফেরত যেতাম তাহলে এ রকম ধর্মীয় উন্মাদনা থাকত না। আমরা মিলে মিশে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললেন তখন অনেকেই হাসাহাসি করেছে। কিন্তু আজ বাংলাদেশের জন্য সেটি বাস্তব। গ্রামের যে মানুষটি লেখা-পড়া করেনি, ইংরেজি তো দূরের কথা বাংলাও বানান করে পড়তে হয়, সেও ঠিক ঠিক ফেসবুক চালিয়ে নিচ্ছে। বিদেশে থাকা সন্তানদের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলছেন নিরক্ষর জননী। এমন বাস্তবতায় জাতীয় জাদুঘরের ভার্চুয়াল গ্যালারি অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ।
তিনি বলেন, জাতীয় জাদুঘরে এখনো যে পরিমাণ নিদর্শন সংরক্ষিত আছে, তার ৫ ভাগের বেশি আমরা দেখাতে পারি না। বাকি ৯৫ ভাগ অদেখা রয়ে গেছে। এগুলো যদি দেখাতে চাই, আমাদের নতুন একটা জাদুঘর লাগবে। এ ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল গ্যালারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং অ্যাকেসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।
স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এজেড/এসএইচ