মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বরিশালের হিজলা উপজেলায় ও ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় পৃথকভাবে এ অভিযান চালানো হয়। বরিশাল পরিবেশ অধিদফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মো. তোতা মিয়ার সহযোগিতায় বরিশালের হিজলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে টেকেরবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বিক্রি, প্রদর্শন, মজুত ও বিতরণের দায়ে মেসার্স হারুন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. সুমনকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স কবির স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. নুর হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা, মেসার্স রাজ্জাক স্টোরের স্বত্বাধিকারী সাহাবুদ্দিন সরদারকে ৩ হাজার টাকা, জয়রাম মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শ্রীকৃষ্ণ ঘোষকে তিন হাজার টাকা, মেসার্স কামরুল বেকারির স্বত্বাধিকারী মো. আমির হোসেনকে দুই হাজার টাকা, মেসার্স মা ভ্যারাইটিস স্টোরের স্বত্বাধিকারী আকতার হোসেনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছয় প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আনুমানিক ৫৬ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা বেগম পারুলের নেতৃত্বে উত্তমপুর বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক আনজুমান নেছার সহযোগিতায় নিষিদ্ধ পলিথিন রাখার দায়ে মেসার্স ওবায়দুল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আজাদকে দুই হাজার টাকা, মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জলিলকে দুই হাজার টাকা, মেসার্স মিরাজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুস সোবহানকে এক হাজার টাকা, মেসার্স মায়ের দোয়া স্টোরের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান সোহাগকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মোট চার প্রতিষ্ঠানে ছয় হাজার টাকা জরিমানা এবং আনুমানিক ৫ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে অপর এক অভিযানে রাজাপুরের উত্তমপুরের মো. হুমায়ূন কবিরের মালিকানাধীন মেসার্স এম এইচ টি ব্রিকসকে (পাঁজা) ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এমএস/জিপি/এমজেএফ