মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে তার ঘরেই কবর খনন করে তাকে দাফন করা হয়। পরে কবরের চারপাশ ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।
হাফিজুল উপজেলার ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বাংলানিউজকে জানান, বজ্রপাতে নিহতদের মরদেহের একটি অংশ স্বর্ণে পরিণত হয় বলে গুজব রয়েছে। আরো গুজব হলো-এমন মরদেহের ক্রেতা বিদেশিরা। যা আদৌ সত্য নয়। কিন্তু এ গুজবে বিশ্বাস করে কিছু অসাধু লোক বজ্রপাতে নিহতদের মরদেহ চুরি করে। হাফিজুলের মৃত্যুর পর তার মরদেহ ঘিরেও এলাকায় রটতে থাকে নানা গুজব। জনমনেও এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। এনিয়ে বিভিন্নজনের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মন্তব্য বিশ্বাস করে ভীত হয়ে পড়েন তার স্বজনরা। তাই মরদেহ চুরির ভয়ে দুপুরে হাফিজুলকে তার নিজের ঘরেই দাফন করেন তারা।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় লালপুর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের বাবা আতাউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গ্রামের অনেকেই বলাবলি করছিল যে হাফিজুলের মরদেহ যদি সামাজিক কবর স্থানে দাফন করা হয়, তাহলে মরদেহটি রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাবে। তাই যাতে তার মরদেহ চুরি না হয় সেজন্য ঘরেই দাফন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পাশে মাঠে কৃষি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে হাফিজুলের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
আরবি/এসআই