মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট চিলাহাটি থেকে পুরোনো কোচের স্থলে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা সাদা রঙের লাল-সবুজ রেখা টানা ১২টি কোচ নিয়ে বিশাল ওই ট্রেনবহর (র্যাক) চলতে শুরু করেছে খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে।
ট্রেন দু’টির মধ্যে আসন সংখ্যা রাত্রিকালীন সীমান্ত এক্সপ্রেসে ৮৬৫টি ও দিনে রূপসা এক্সপ্রেসে ৮৯০টি।
সূত্র মতে, সন্ধ্যায় সীমান্ত এক্সপ্রেস নতুন কোচ যাত্রা শুরু করলেও রূপসা এক্সপ্রেস বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টায় চিলাহাটি ও খুলনা থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে নতুন কোচে চলবে। এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে খুলনা রেলস্টেশনে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ও যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে খুলনা রুটে চলাচল করতো। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ট্রেন দু’টির গন্তব্য পুনঃনির্ধারণ করা হয় সৈয়দপুর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরবর্তী নীলফামারীর সীমান্ত জনপদ ভারতের হলদিবাড়ি সংলগ্ন চিলাহাটি পর্যন্ত। যাত্রীবাহী কোচ সংকটের কারণে ওই ট্রেন দু’টিতে জরাজীর্ণ কোচ ব্যবহার করা হয়েছিল।
এদিকে চিলাহাটি-রাজশাহী রেলপথে চলাচলকৃত আন্তঃনগর বরেন্দ্র ও তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টিও পুরোনো লক্কর-ঝক্কর কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ দু’টি ট্রেনেও নতুন কোচ সংযুক্ত করার দাবি করেছে যাত্রীরা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিটিও) শওকত জামিল মহসী বাংলানিউজকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সীমান্ত ও রূপসা এক্সপ্রেসে কোচ পরিবর্তন হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের অন্যান্য ট্রেনেও নতুন কোচ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
আরবি/আরএ