মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) মনিবুর রহমান (২৫) নামে এক ব্যক্তি কালুখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চর নারায়নপুর গ্রামের শওকত বিশ্বাসের ছেলে বিল্লাল বিশ্বাস (২৮) ও তার শাশুড়ি একই উপজেলার পাকশিয়া গ্রামের আ. মালেক মণ্ডলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৮)।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিল্লাল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার শাশুড়ি মর্জিনা বেগম পলাতক রয়েছেন। মামলার বাদী মনিবুর রহমান চর নারায়নপুর গ্রামের আ. রশিদের ছেলে।
মনিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিল্লালের শ্বশুর আ. মালেক মণ্ডল মালয়েশিয়ায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে বিল্লাল ও তার শাশুড়ি মর্জিনা আমাকে বিদেশে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে আট লাখ টাকা চায়। আমি তাদের কথায় বিশ্বাস করে ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাদের আট লাখ টাকা দেই। কিন্তু টাকা পেয়ে তারা আমাকে বিদেশে না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে আমি টাকা ফেরত চাইলে বিল্লাল সোনালী ব্যাংক কালুখালী উপজেলা শাখায় আমার নামে আট লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু ব্যাংকে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করেন। ফলে উপায় না পেয়ে আমি বিল্লাল ও তার শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হই।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম ফকির বাংলানিউজকে জানান, মনিবুরের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামি মর্জিনা বেগম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মর্জিনাকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এনটি