গ্রেফতারকৃত লিটনের বাড়ি গাজীপুরের কালিগঞ্জে। ঘটনার দিন পুষ্পকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ডিবি উত্তরের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
গত ১৮ এপ্রিল ভোরে নীলা আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলা থেকে পুষ্পের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় হোটেলটিতে উঠেছিলেন তারা।
মরদেহ উদ্ধারের পর পুষ্পের ভাই জগদীশ চন্দ্র শীল বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পুষ্পকে খুন করে তার সঙ্গে থাকা তার ২ বছরের নাতনীকে নিয়ে পালিয়ে যান লিটন। লিটনের কাছ থেকে সেই শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুর্জয় নাম দিয়ে ওই যুবক পুষ্পকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে হোটেলে উঠেন।
নিহত পুষ্পের বাবা মৃত হরিভক্ত চন্দ্র শীল। গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জের সাখবুনিয়ায়। স্বামীর নাম দিনেশ চন্দ্র শীল। স্বামীর সঙ্গে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় থাকতেন তিনি।
পুষ্পের পরিবার ও স্বামীর সঙ্গে আগে থেকে যোগাযোগ ছিল সন্দেহভাজন হত্যাকারী লিটনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
পিএম/আরআর/এসএইচ