বুধবার (২৬ এপ্রিল) ওই বস্তুটি উদ্ধার করতে গিয়ে ৠাবের বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
ৠাবের বরাত দিয়ে স্কলার্স হোমের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, দশম শ্রেণির ছাত্র এবাদুর রহমান ও শাহীনুর আহমেদ মাহি কৌতুহলবশত ওই বস্তুটি রেখেছিল।
কাগজের মধ্যে এয়ারফোনের তারের সংযোগ দিয়ে টেপ মুড়িয়ে বোমার মতো তৈরি করে কলেজের সিঁড়ির নিচে রেখেছিল। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এবাদুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করেছে, বলেন তিনি।
তবে ঘটনার সঙ্গে নাশকতার সংশ্লিষ্টতা নেই। ওই শিক্ষার্থীকে (এবাদুর রহমান) স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে আছে। এদিকে, এবাদুরের দেওয়া তথ্য মতে শাহীনুরকেও আটক করে ৠাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় স্কলার্স হোম কলেজ ক্যাম্পাসে ফটকের সামনে বোমা সদৃশ বস্তু দেখে থানায় খবর দেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ও এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে বিকেলে বোমাটি উদ্ধারে ৠাবের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকা থেকে রওনা হয়। বুধবার সকালে তারা বোমা সদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। যা পরবর্তীতে বোমা নয়, দেখতে বোমা সদৃশ ছিল এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুই ছাত্র ফান (মজা) করে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ওই বস্তুটি রেখেছিল। তাদের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ছাড়া বাস্তবে কোনো ঘটনার সঙ্গে তাদের (দুই শিক্ষার্থী) সম্পৃক্ততা রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এনইউ/জেডএস