বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহ উদ্দিন আহমদ এই রায় দেন।
সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মিজি (৪৮), বাবুল মিজি (৩২), মজিদ মিজি (৪০), নুর হোসেন মিজির ছেলে মজিবুর হোসেন মিজি (৪২) ও নাজির মিজি (৩৫)।
নিহত সফিক গাজী সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাঘুনাথপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উত্তর বালিয়া গ্রামের ফরিদ খোকনের বাড়িতে তার চাচা ইয়াকুব ও একই বাড়ির দেলোয়ারের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে উভয়ের পরিবারের সদস্যরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পাশের গ্রামের সফিক তাদের থামাতে গেলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয়রা সফিককে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আরো খারাপ হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সফিকের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় সফিকের চাচাত ভাই ফরিদ আহম্মেদ বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আদালত দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছরে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিচারক ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধিতে এই রায় দেন। এছাড়া অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় বাকি ছয় আসামি শাহ নেওয়াজ মিজি, বিল্লাল মিজি, মপু মিজি, সালাহউদ্দিন মিজি, হাসান মিজি ও নাছিমা বেগমকে খালাস দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন অ্যাডভোকেট মোক্তার হোসেন অভি। আসামি পক্ষে ছিলেন কাজী হাবীবুর রহমান ও সেলিম আকবর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এসআই