বরং নিয়মিত ফি দিয়ে বুয়েটে তার ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখে আড়ালে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
জেনি নব্য জেএমবি তামিম-সারোয়ার গ্রুপের ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিশেষজ্ঞ।
রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ আইইডিসহ জেনিকে আটক করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১০) সদস্যরা।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ৠাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর।
তিনি জানান, গত ২০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত জেনিসহ তামিম-সারোয়ার গ্রুপের ১৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ক্যান্টনমেন্টের কাছে একটি সরকারি স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আর তাদেরকে প্রয়োজনীয় আইইডি সরবরাহ করে জেনি। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আইটি বিশেষজ্ঞ জেনিকে খোঁজা শুরু হয়। পরে বুধবার ভোরে তাকে উত্তরার নিজ বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ আইইডিসহ আটক করা হয়।
জেনি যেসব আইইডি প্রস্তুত করতে সক্ষম সেসব রিমোটের মাধ্যমে ১শ’ মিটার দূর থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব বলেও জানান ৠাবের অতিরিক্ত ডিআইজি।
তিনি আরও বলেন, জেনির বাবা মৃত রফিকুল ইসলাম একজন স্বনামধন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। জেনির জঙ্গিবাদে জড়ানো সম্পর্কে তার মা অবগত ছিলেন। কেনো তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান নি এমন প্রশ্নের জবাবে তার মা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা তাকে ধরে ফেলবে এ ভয়ে আমি জানাইনি। তবে, আমি জানতাম একদিন আপনারা তাকে ধরে ফেলবেন।
জেনি নিজের বাড়ির ফ্যান, লিফট, এসি, পানির মোটর, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতো। তার আইইডি ডিভাইস ঢাকার বাইরে কোনো এক জায়গায় সফলভাবে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলেও জানা গেছে।
ব্যাটারির পানি ও এসিটনের সংমিশ্রণে বিস্ফোরক তৈরি করতো সে। এরপর বৈদ্যুতিক বাল্বের আলোর সাহায্যে উত্তপ্ত করে বিস্ফোরণ ঘটাতো।
তাকে (জেনি) রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
পিএম/জিপি/জেডএস
** নব্য জেএমবির আইইডি বিশেষজ্ঞ আটক