শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জলদস্যু ‘আলিফ ও কবিরাজ’ বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আকাঙ্খার কথা জানান।
বেনজীর আহমেদ বলেন, কোথাও দস্যুতা করতে দেওয়া হবে না, এ অঞ্চলের মানুষদের দস্যুমুক্ত সমাজ উপহার দিতে চাই।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের পর হাতিয়া ও সন্দ্বীপ এলাকার জলদস্যুদের নিশ্চিহ্ন করা হবে। তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সুন্দরবনে এখনো যারা দস্যুতামি করছেন যদি জীবনের মায়া থাকে আত্মসমর্পন করুন।
র্যাবের ডিজি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও দস্যুতা করতে দেওয়া হবে না। পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রতিটি বাহিনী এক হয়ে কাজ করছে। মানুষকে দস্যুমুক্ত সমাজ উপহার দিতে চাই। এজন্য প্রত্যেকের সহযোগিতারও প্রয়োজন রয়েছে। যারা এ অঞ্চলে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের কোনো ভয় নেই, কারণ দস্যুদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা আত্মসমর্পণ করিয়েই আত্মতুষ্ট নই, বরং যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের পুর্নবাসন ও সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার কাজ করছি। আগামীতে আত্মসমর্পণকারীদের ব্যাপক পুর্নবাসনের আওতায় আনা হবে। তারা সম্মানজনকভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে।
গত ২৯ মার্চ আত্মসমর্পনকারী জলদস্যু ‘ছোট রাজু’ বাহিনীর ১৫ সদস্যকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে দুইজন সদস্য জেলহাজতে থাকায় পরিবারের লোকজনের কাছে তাদের আর্থিক সহায়তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাব ৮-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুবুর রহমান তালুকদার।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী, পুশিল সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবীর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/বিএস