বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গেলে কথা হয় সহকারী লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমার সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শহরের মূল সড়কে জায়গা না পাওয়ায় এখানে জায়গা কিনে লাইব্রেরি করা হয়েছে।
কোন শ্রেণির পাঠক বেশি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে সবচেয়ে বেশী আসে শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা বেশী। তবে এখানে নারীদের জন্য পৃথক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।
সুনীলময় চাকমা বলেন, বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা অফিস শেষে প্রায়শই এখানে ঢুঁ মেরে যান। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গল্পের বই, উপন্যাস, কবিতার বই, ম্যাগাজিন, লিটল ম্যাগাজিন পড়লেও হুমায়ূন আহম্মেদের বইয়ের পাঠক বেশি। আর বয়: জ্যেষ্ঠরা বিভিন্ন ধরনের পত্রিকা, ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে লেখা বই বেশী পড়েন।
প্রতিষ্ঠানের লোকবলের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান, একজন লাইব্রেরি অ্যাসিসট্যান্ট, একজন বুক সর্টার, একজন এমএলএস এবং একজন অনিয়মিত শ্রমিক কাজ করছেন। ৫০ এর অধিক পাঠক এক সঙ্গে পাঠে বসতে পারেন এ লাইব্রেরিতে।
সুনীলময় আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের লাইব্রেরিতে ২৬ হাজার বই আছে। বইয়ের জন্য আমাদের কোন বাজেট তৈরি করতে হয় না। কেন্দ্র থেকে সারাদেশের মতো আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্যও বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে অনেক সময় আমরা পাঠকদের পছন্দের কথা চিন্তা করে কিছু বই এর জন্য কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
জেডএম/