২০১০ সালে চালু হওয়া এ সংযোগ সড়কটির দু’টি প্রান্ত পৌঁছেছে বেগম রোকেয়া সরণির বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এবং আঁগারগাও থেকে শ্যামলী সড়কে। গর্ত ও রঙ ছাড়া স্পিডব্রেকারসসহ এ সড়কে ১৬টি ফাঁদ চিহ্নিত হয়েছে।
নির্ঝঞ্জাটভাবে এই পথটুকু যান চলাচলের জন্য বিজয় সরণিকে এড়িয়ে এই সংযোগ সড়ক চালু করে তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশন। ২০১০ সালে চালু এ সড়কটি শহরের অন্যান্য সড়কের মতোই ব্যস্ত। মহাখালি ও মিরপুরের মধ্যে যান চলাচলের জন্য এ সড়কটি বহুল ব্যবহৃত।
সোমবার (০১ মে) সকালে এই সড়কটির দুই কিলোমিটার ভ্রমণ করে চোখে পড়ে কিছু পকেট মৃত্যুফাঁদের। রাতের অন্ধকারে বা বৃষ্টিতে এ সড়কের খাদগুলো এবং স্পিড ব্রেকারগুলোতে থাকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। রাস্তায় বিটোমিনের পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বেশকয়েকটি গর্তের। যেগুলোতে সহজেই ফেঁসে যেতে পারে মোটরসাইকেলের চাকা। স্লিপ করে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি ওই পথে বৃষ্টির রাতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোহাম্মদ কবির নামে এক চাকরিজীবী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টিতে গর্তগুলো বোঝা যায় না। বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে এ গর্ত তৈরি হয়েছে। আমি ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলছিলাম। হঠাৎ করেই সামনের চাকা পড়ে যায় গর্তে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমিও পড়ে যাই। পেছনে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালক পাশের দেয়ালে আঘাত করে। ভাগ্যগুণেই বেঁচে যাই।
এই সড়কে এ ধরনের ১২টি গর্ত রয়েছে। যেগুলোতে ছোট গাড়ির চাকা ডুবতে পারে। এ সড়কে রয়েছে ৪টি স্পিডব্রেকার। যেগুলো অন্য যে কোনো সড়কের স্প্রিডব্রেকারগুলোর তুলনায় একটু বেশি উঁচু। তবে কোনো স্পিড ব্রেকারেই সাদা রঙ না থাকায় অন্ধকারে বোঝার উপায় নেই। সেগুলোতে গাড়ি স্লিপ করার সম্ভাবনা থাকে। ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
সড়কের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এবং আগারগাঁওয়ের সড়কে যাওয়ার উত্তরমুখী পথে রয়েছে লোহার খুঁটি দিয়ে ডিভাইডার। যেসব খুঁটির অনেকগুলোই বেঁকে গেছে বা ভেঙে গেছে। এই সরু খুঁটিগুলোতে উজ্জ্বল রঙ না থাকায় অন্ধকারে চোখে পড়ে না। সরু খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে হালকা যানের উল্টে যাওয়ার খবর অহরহ বলে জানালেন চালকরা।
এ সড়কে এখন সবচেয়ে বড় গর্তটি রয়েছে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র হতে আগাঁরগাও পর্যন্ত সড়কে। প্রায় ১০ বর্গফুটের একটি গর্ত তৈরি হয়েছে এখানে। সিগন্যালবিহীন এ সড়কে গাড়ির চালকরা হঠাৎ করেই খেয়াল করতে পারেন না এ গর্ত। ছোট গাড়ি থেকে শুরু বাসের চাকা পড়েও এখানে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মানুষের মৃত্যুঝুঁকি থেকে শুরু করে যানবাহনের ক্ষতিতো রয়েছেই।
আর সড়কটির অন্তত তিনটি জায়গায় গাড়ির কাঁচ ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যেগুলোতে চাকার টায়ার ও টিউব পাংচার হয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এমএন/এসএনএস