ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গোয়েন্দা চাহিদায় স্মার্টকার্ডে থাকছে আইরিশ-আঙুলের ছাপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
গোয়েন্দা চাহিদায় স্মার্টকার্ডে থাকছে আইরিশ-আঙুলের ছাপ

ঢাকা: বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার চাহিদার জন্য উন্নতমানে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড সরবরাহের ক্ষেত্রে চোখের আইরিশ ও আঙুলের ছাপ নেওয়া অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রকল্প মেয়াদ বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (০২ মে) তিনশ’তম কমিশন বৈঠকে ইসি এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে বিকেলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
 
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর চোখের আইরিশ ও আঙুলের ছাপ নিয়ে আমরা স্মার্টকার্ড সরবরাহ করেছি।

এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থারও চাহিদা রয়েছে আইরিশ ও ছাপ নেওয়ার। তাই আইরিশ ও আঙুলের ছাপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা নাকোচ করে দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে আইরিশ ও ছাপ নেওয়ার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
 
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর স্মার্টকার্ড (আইডিইএ) প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এরমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৯ কোটি কার্ড সরবরাহ করতে হবে। এতে চোখের আইরিশ ও আঙুলের ছাপ নেওয়ার বিষয়টি ছিল না। কিন্তু কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার চাহিদার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর যেহেতু আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপ নিতে গেলে দুই-দুই করে মোট চার হাজার যন্ত্র কিনতে হবে। আর এ প্রক্রিয়াটি মামলার কারণে ঝুলে আছে। তাই আইরিশ ও ছাপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান কেএম নুরুল হুদার কমিশন মনে করছে চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাই যৌক্তিক হবে। এজন্য ওই মামলার কার্যক্রম কিভাবে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে শেষ করা যায় এবং যন্ত্রগুলো কেনা যায়, সে উপায় বের করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
 
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মামলা যে কেউ করতে পারে। এতে দুর্নীতি হচ্ছে এমন বলাও যাবে না। কেননা, বিশ্বব্যাংক আমাদের একবারে সব টাকা দেয়নি। তারা কাজ হলেই টাকা দেয়।

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষ না হলে কি করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চিন্তা করছি প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংককে প্রস্তাব দেব। তারা সম্মত হলে ভালো। অন্যথায় সরকারের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি তহবিল থেকেই কাজটা করতে হবে।
 
তিনি বলেন, প্রতিবছরই ভোটার বাড়ছে। এ চুক্তিটি করা হয়েছিল ৯ কোটি স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ১৭ লাখের মত। তাই এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ভোটারও করতে হবে স্মার্টকার্ডও দিতে হবে।
 
সচিব বলেন, ইতিমধ্যে ৮০ লাখ স্মার্টকার্ড প্রিন্ট হয়েছে। ১৫ অতিরিক্ত মেশিন ক্রয় করে এ কার্ড প্রস্তুতের কাজ আরো বাড়ানো হবে।
 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবারও আমরা ভোটার তালিকা হালানাগাদ করার উদ্যোগ নিচ্ছি। এক্ষেত্রে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি ও তার আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের তথ্য নেওয়া হবে। এতে একসঙ্গে তিন বছরের তথ্য নেওয়া হবে। যারা যখন ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তাদের সে বছরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।