আগামী ৪ থেকে ৭ মে জাপানের ইয়োকোহামা শহরে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যংকের (এডিবি) ৫০তম বার্ষিক সম্মেলন। বিভিন্ন দেশের সাড়ে তিন হাজার প্রতিনিধি ও মন্ত্রীদের সঙ্গে সেখানে যোগ দেবেন সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরাও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইং এর কর্মকর্তা মঙ্গলবার (মে ০২) বিকেলে এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কোনো প্রকার পরিবেশ নেই। তারপরও বিদেশে দেখা সাক্ষাৎ মন্দ নয়।
তিনি বলেন, গত বছরের ৯-১০ নভেম্বর ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক (শীর্ষ সম্মেলন) সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। পরে সম্মেলনটি স্থগিত হয়ে যায়। তারপর থেকে সার্কের মন্ত্রী পর্যায়ের চারটি বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়। এ মাসেই সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে গেল এ বৈঠকগুলো হওয়া জরুরি। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার পরিবেশ নেই। তবে সার্কের প্রোগ্রাম কমিটির বৈঠক নিয়মিত হচ্ছে। এছাড়া সার্ক এগ্রিকালচারাল সেন্টার, সার্ক মেটওরোলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, সার্ক টিউবারকিউলসিস সেন্টার, সার্ক ডকুমেন্টেশন সেন্টার, সার্ক হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, সার্ক ফরেস্ট্রি সেন্টার, সার্ক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, সার্ক এনার্জি সেন্টার, সার্ক ইনফরমেশন সেন্টার, সার্ক কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, সার্ক আরবিট্রেশন কাউন্সিল এবং সাউথ এশিয়া স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অর্গানাইজেশনের কাজ ঠিক মতই চলছে।
তবে বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে আফগানিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপের মত রাষ্ট্রগুলো যুক্ত হতে চাচ্ছে না। কারণ তারা সরাসরি বার্ষিক চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ জন্য অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এর ফলে সংস্থাটি বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সার্কের নীতিমালা অনুযায়ী একটি দেশ ভেটো দিলেই কোনোও প্রকল্প গ্রহণ করা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ২,২০১৭
কেজেড/আরআই