ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সীমান্তে পাথরের জীবন (ভিডিও)

মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
সীমান্তে পাথরের জীবন (ভিডিও) সীমান্তে পাথরের জীবন/ছবি: লেখক

বাংলাবান্ধা সড়ক থেকে: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারের পথ। এর বেশিরভাগটুকুই মহানন্দা নদীর পাড় ধরে। এই ভর গ্রীষ্মেও মহানন্দায় স্রোত রয়েছে। ভারতের শিলিগুড়ি জেলা থেকে প্রবাহমান এ নদী বয়ে নিয়ে আসে পাথর। ভারত সীমান্তে এ পাথর উত্তোলনকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে মানুষের জীবন-জীবিকা।

জালের মতো বড় লোহার চাকতি বসানো হয় গাড়ির চাকার টিউবের ভেতর। বিশেষভাবে তৈরি এ ভেলায় নদীর মাঝখান থেকে উত্তোলিত হয় পাথর।

ঢাল বেয়ে আসা পাথর আটকে যায় লোহার জালে। সেই ভেলা পাথর বয়ে নিয়ে আসে পাড়ে। পাড়ে তারের জালির কাঁচানি দিয়ে টুকরিতে উঠান শ্রমিকেরা। এর আগে পানিতে নেড়ে-চেড়ে যতটুকু সম্ভব বালিমুক্ত করা হয়। সীমান্তে পাথরের জীবন/ছবি: লেখকপাথর শ্রমিকদের মধ্যে যারা পুরুষ, তারা সবাই হাফপ্যান্ট পরা। পানি থেকে কাঁদা মাটিতে পা ডুবিয়ে যখন পিচঢালা রাস্তায় উঠে আসেন শ্রমিকেরা, গা থেকে দরদর করে ঝরতে থাকে ঘাম।

পাথর শ্রমিক রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন তারা। তবে পাথরের স্রোত ভাল থাকলে মজুরি ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়। দুই কাঁধে দুই টুকরি নিয়ে মহাসড়কের পাশে এসে পাথর রাখা হয়। পথের পাশে রাখা পাথরকে চালুনিতে বেছে গুড়া আলাদা করা হচ্ছে। টুকরো পাথর যেটা জমছে, সেগুলোকে সেফটি বাক্সে মেপে আলাদা করা হচ্ছে। সীমান্তে পাথরের জীবন/ছবি: লেখকইলিয়াস এখানকার একজন পাথরের বেপারি। তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রতি সেফটি পাথর ৫৭ টাকায় বিক্রি করেন। চালনে সাহায্য করা মহিলা শ্রমিকদের মজুরি দিন প্রতি ৩০০ টাকা দিতে হয়। পাথর যত বড় টুকরো হয়, মূল্য ততো ভাল পাওয়া যায়। বর্ষায় অবশ্য বেশি কুচি পাথর আসে বলে জানান তিনি।

ঢাকা ও পঞ্চগড়সহ সারাদেশ থেকেই পাথর ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাথর সংগ্রহ করেন। চাঁদপুরের জুয়েল পাথরের ব্যবসা করেন ঢাকায়। এখানে এসেছেন পাথর সংগ্রহ করতে। তিনি বলেন, প্রতি সেফটি পাথর ঢাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ হয় ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সীমান্তে পাথরের জীবন/ছবি: লেখকবঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর পাথরের বড় ট্রাক ওঠানো যায় না। এপার থেকে ভেঙে ছোট ট্রলিতে সেতু পার করাতে হয়। যার ফলে খরচ বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এমএন/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।