জালের মতো বড় লোহার চাকতি বসানো হয় গাড়ির চাকার টিউবের ভেতর। বিশেষভাবে তৈরি এ ভেলায় নদীর মাঝখান থেকে উত্তোলিত হয় পাথর।

পাথর শ্রমিক রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন তারা। তবে পাথরের স্রোত ভাল থাকলে মজুরি ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়। দুই কাঁধে দুই টুকরি নিয়ে মহাসড়কের পাশে এসে পাথর রাখা হয়। পথের পাশে রাখা পাথরকে চালুনিতে বেছে গুড়া আলাদা করা হচ্ছে। টুকরো পাথর যেটা জমছে, সেগুলোকে সেফটি বাক্সে মেপে আলাদা করা হচ্ছে। ইলিয়াস এখানকার একজন পাথরের বেপারি। তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রতি সেফটি পাথর ৫৭ টাকায় বিক্রি করেন। চালনে সাহায্য করা মহিলা শ্রমিকদের মজুরি দিন প্রতি ৩০০ টাকা দিতে হয়। পাথর যত বড় টুকরো হয়, মূল্য ততো ভাল পাওয়া যায়। বর্ষায় অবশ্য বেশি কুচি পাথর আসে বলে জানান তিনি।
ঢাকা ও পঞ্চগড়সহ সারাদেশ থেকেই পাথর ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাথর সংগ্রহ করেন। চাঁদপুরের জুয়েল পাথরের ব্যবসা করেন ঢাকায়। এখানে এসেছেন পাথর সংগ্রহ করতে। তিনি বলেন, প্রতি সেফটি পাথর ঢাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ হয় ১৫০ টাকা পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর পাথরের বড় ট্রাক ওঠানো যায় না। এপার থেকে ভেঙে ছোট ট্রলিতে সেতু পার করাতে হয়। যার ফলে খরচ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এমএন/এসএইচ