মঙ্গলবার (০২ মে) বিকেলে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম লুৎফা তাহেরের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, হাওর এলাকায় সার ও বীজের অভাব হবে না।
লিখিত জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ওই এলাকায় ব্রি ধান-৪৮ জাতের (আউশ) বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়নভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, দ্রুততার সাথে আউশ ধান বপনের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। ওই এলাকায় খরিফ মৌসুমে দ্রুততার সাথে আমন ধান, মুগ, মাসকলাই ও খেসারিসহ অনান্য ফসল আবাদের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবজি উৎপাদনের জন্য ভাসমান বেড পদ্ধতি হাওর এলাকায় চালু করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। আগামী বোরো মৌসুমে আগাম রোপণের জন্য হাইব্রিডসহ অন্যান্য জাতের বীজতলা তৈরি করে চাষিদের মধ্যে চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মতিয়া বলেন, সম্ভাব্য সকল আউশ এবং আমনের জমিতে ধান রোপণ নিশ্চিত করা হবে। নিবিড় শস্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আউশ/আমন ফসলের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে। আমন মৌসুমে হঠাৎ পানিতে ডুবতে পারে এমন জমিতে ব্রি ধান-৫২, বিনা ধান-১১ জাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাষাবাদের আওতায় আনা হবে। ক্ষয়ক্ষতির গুরুত্ব উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় সভায় তুলে ধরা হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে নাবী আমন ধানের চারা উৎপাদন ও বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভাসমান বেডে বীজতলা প্রস্তুত করা হবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিকসহ সকল কৃষকদের আমন জমি রোপণের আওতায় আনা হবে।
সিলেটের খাদিমনগরে অবস্থিত কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আসন্ন আমন মৌসুমের জন্য নাবী আমন ধানের চারা উৎপাদন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ