মঙ্গলবার (০২ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানান।
হেফাজত আমীর বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অসহায় মানবতার পাশে সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব।
আহমদ শফী বলেন, হাওর এলাকার লাখ লাখ চাষি ফসল হারিয়ে এখন নিঃস্ব। ভারি বৃষ্টি ও সীমান্তের ওপার থেকে ধেয়ে আসা পানির সয়লাবে তাদের সকল আশা ও ভবিষ্যৎ ভেসে গেছে। হাওরের বিপুল মৎস্য সম্পদ ও হাঁস এই নিদানকালে তাদের খুবই কাজে আসতে পারতো। কিন্তু সেই আশাও তাদের শেষ হয়ে গেছে। রহস্যজনক কারণে হওরের মাছ, হাঁস সবই মরে সাফ হয়ে যাচ্ছে। এমন ভয়াবহ দুর্যোগময় সময়ে হাওরবাসীর চোখেমুখে চরম অসহায়ত্ব ফুটে ওঠেছে। আগামী চৈত্র ছাড়া বছর ব্যাপী তাদের ফসল পাওয়ার সুযোগ নেই।
হেফাজত আমীর বলেন, হাওরের দূর্গত অঞ্চলে সরকারকে যেমন সকল প্রকার সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, তেমনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সেবা সংস্থা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ত্রাণ সংগ্রহ করে দুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্গত মানুষদের জন্য কার্যকর সহযোগিতার পরিবর্তে রাজনৈতিক হাতিয়ার করা চরম অমানবিকতা। রাজনৈতিক দলগুলো মানবিকতাবোধের পরীক্ষায় বার বার ব্যর্থ হলে সাধারণ মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
দেশের আলেম সমাজকেও যার যার সাধ্যমতো হাওরবাসীর সহযোগিতায় ভূমিকা রাখার আহবান জানানহেফাজত আমীর।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী দেয়ার পাশাপাশি কম দামে খাদ্য ও অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। চাষিরা ব্যাংক ও মহাজনি ঋণ নিয়ে ফসল আবাদে বিনিয়োগ করছিল। এখন এই ঋণের কি হবে, সেটাও সদয় বিবেচনায় নিতে হবে। এই সঙ্গে আগামীতে আবাদঘাটের জন্য নগদ অর্থ ও উপকরণের প্রয়োজন হবে, তার আয়োজন ও বন্দোবস্তের পথও বের করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
জেডএম/