এ দৃশ্য রোজকার মোহাম্মদপুর পার্কের। রাজধানীর এ পার্কে দর্শনার্থীদের চেয়ে হকারদের সংখ্যাই বেশি।
ছোট্ট আয়তনের পার্কটি ঘুরে দেখা যায়, হকারদের বসার কারণে পার্কটি আরও ছোট হয়ে এসেছে।
পার্কে আসা দর্শনার্থীদের অভিযোগ, পার্কে ঘুরতে ও হাঁটতে আসা সাধারণ মানুষের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
বিশেষ করে শিশু-কিশোররা অবসর সময়ে বেড়াতে আসতে পারছে না। হকারদের কারণে জায়গার অভাবে তাদের খেলাধুলা করতেও বেশ সুবিধা হয়।
মোহাম্মদপুর এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। শিশু ও প্রবীণদের জন্য খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই এলাকাটিতে। বাসিন্দাদের বিনোদনের সুযোগ করে দিতে মোহাম্মদপুর ক্লাব আসাদগেট থেকে বেড়িবাঁধ যাওয়ার সড়কের পাশে পার্কটি নির্মাণ করে। তবে সব দিক দিয়ে পার্কটি রয়েছে দৈন্যদশায়। ভাঙা বেড়া, হকারদের দৌরাত্ম্য ও টোকাইদের উৎপাতে অতিষ্ঠ পার্কে আসা দর্শনার্থীরা।
এখানকার বাসিন্দাদের প্রাতঃভ্রমণ বা শরীরচর্চার জন্যও এ পার্কটিই ভরসা। অথচ হকার ও অযত্ন-অবহেলার কারণে এ সামান্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা।
নাজমা রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, পার্কটি এমনিতে অনেক ছোট। দোলনাসহ বেশ কয়েকটি শিশুদের খেলার আইটেম থাকায় বাচ্চারা এখানে আসতে চায়। কিন্তু হকার বসার কারণে দৌড়ানোর জায়গা পায় না। এছাড়া পার্কের বেড়া ভালো না, যেকোনো সময় বাচ্চারা দৌড়ে রাস্তায় যেতে পারে, ফলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
পার্কের ভেতরে স্টেশনারির দোকান দিয়ে বসেছেন জাকির হোসেন। তিনি মোহাম্মদপুর ক্লাবেরও সদস্য।
তিনি বলেন, ক্লাবের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দোকান দিয়েছি। পার্কের একটা খরচ আছে, হকারদের বসতে দিয়ে এ খরচ ওঠানো হয়। পার্কটি সিটি করপোরেশন বা সরকার- কারও কাজ থেকে কোনো সহায়তা পায় না।
ওবায়দুর রহমান নামে মোহাম্মদপুর টাউন হলের বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, এলাকাবাসীর উদ্যোগে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু যারা পরিচালনা করছেন, তারাই হকার বসিয়েছেন। বিকেলে হাঁটতে মানুষের বেশ অসুবিধা হচ্ছে। যাদের জন্য পার্ক করা তাদের সমস্যা হলে এ পার্ক দিয়ে কী হবে?
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এমসি/এএটি/এসএনএস