বর্তমানে লাইব্রেরিতে ১৮ হাজার ৬১টি বই আছে। সবই আইনের বই।
ইতোমধ্যেই পুরাতন ভবন থেকে সুপ্রশস্ত নতুন ভবনে লাইব্রেরি স্থানান্তর করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় চারটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পাঠকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পুরো লাইব্রেরি রুমটি এসি করা হয়েছে। প্রতিদিনি একশ’ ষাট থেকে আশিজন আইনজীবী বই পড়তে পাঠাগারে আসেন। প্রতিদিন প্রায় ২শ’ বই আইনজীবীরা তাদের ব্যবহারের জন্য রিক্যুইজিশন দিয়ে চেম্বারে কিংবা আদালতে নিয়ে যান।
আইনজীবীদের ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগসহ ৫টি কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। কোন আইনজীবী ইচ্ছা করলেই নেটে বই খুঁজতে পারেন। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯ট থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকে।

বারের লাইব্রেরি সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে অনলাইনের যুগ। আইনজীবীরা যাতে তাদের মোবাইলেই আইনের সব বই পড়তে পারেন সে জন্য লাইব্রেরিটি ডিজিটালাইজ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলাপচারিতা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইব্রেরির উন্নয়নের জন্য এক কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ বছরই টাকাটা ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। লাইব্রেরিতে অনেক বইয়ের দরকার। টাকা পেলেই নতুন বই কেনা হবে। লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশনের কাজ শুরু করা হবে।
আজাদ আরও জানান, লাইব্রেরির জন্য বই কেনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছরই নতুন নতুন আইনের বই বের হয়। রেফারেন্স বই হিসাবে ডিএলআর, এমএলআর, বিএলডি প্রভৃতি বই বের হয়। আইনজীবীদের জন্য বইগুলো খুবই প্রয়োজনীয়।
তবে লাইব্রেরিয়ান নাই আইনজীবীর সমিতির লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরিয়ান সহকারী আতাউর রহমান জানান, আগে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে আর ফেরত না দেওয়ার মচ্ছব চলতো। প্রায় বার/তেরশ’ বই আইনজীবীরা নিয়ে আর ফেরত না দেওয়ায় ২০০৪ সালে বই ফেরত না দিলে ১০ গুণ জরিমানার বিধান করা হয়। তারপরও এখনো পাঁচশ’ বই ফেরত পাওয়া যায়নি। এ লাইব্রেরিতে ৯০ বছরের পুরনো বইও আছে।
তিনি আরো বলেন, দিন দিন বড় হচ্ছে লাইব্রেরি। কিন্তু লোকসংখ্যা বাড়েনি। মাত্র তিনজন লাইব্রেরি সহকারী ও একজন পিয়ন দিয়ে চালাতে হয় এতোবড় লাইব্রেরি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
এমআই/জেডএম