বুধবার (০৩ মে) সকালে কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইমন নোয়াখালী জেলার দুলাল মিয়ার ছেলে।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মামুন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান খালের পাশে একটি কলাগাছের সঙ্গে অর্ধেক বসা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ ঝুলে আছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিশুটি নগরের চাঁদমারি এলাকায় অপরাজেয় বাংলাদেশের পথ শিশুদের শেল্টারে রাতে থাকতো। তবে গত কয়েকদিন ধরে সেখানেও সে যায়নি।
অপরাজেয় বাংলাদেশ বরিশাল পথশিশু শেল্টার সেন্টারের প্রকল্প সমন্নয়কারী ফেরেদৌসি সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, এখানে পথশিশুরা শুধু রাতে থাকার জন্য আসে। রাতে ও সকালে তাদের খাবারও দেওয়া হয়। পাশাপাশি মোটিভেশন করে অনেককে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মৃত ইমনও সেন্টারে গিয়ে রাতে থাকতো। তবে ৩০ এপ্রিলের পর সে সেন্টারে আসেনি। যা সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এমএস/জিপি/জেডএস