ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রত্যেক ভূমিহীন মানুষ পাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
প্রত্যেক ভূমিহীন মানুষ পাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব গুচ্ছগ্রামের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ছবি: পিডিআই

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রত্যেক ভূমিহীন মানুষকে খাসজমি ও ঘর করে দেওয়ার মাধ্যমে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া হবে, পুনর্বাসন করা হবে। এজন্য গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প অব্যাহত রাখার পাশাপশি আশ্রয়ন প্রকল্প ও গৃহায়ন তহবিলের মাধ্যমে গৃহহারা মানুষকে ঘরের পাশাপাশি জীবন-জীবিকা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।  

বুধবার (০৩ মে) ৭ জেলার ১০টি উপজেলায় ১১টি গুচ্ছগ্রাম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল দশটায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব গুচ্ছগ্রামের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

গুচ্ছগ্রামগুলো হলো- লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সানিয়াজান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার হিরামানিক-১, হিরামানিক-২, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল কোট ভাজনী বালাসুতি, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা সিরাইল, দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার বাগপুর-২, পার্বতীপুর উপজেলার রিফিউজিপাড়া-১, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার জুয়ান-১, গঙ্গাচড়া উপজেলার আরজি জয়দেব, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার সালাইপুর, ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কবিরপুর-৫ গুচ্ছগ্রাম।

গুচ্ছগ্রাম উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গৃহহীন মানুষদের একটা ঠিকানা করে দিতে পারলাম’।

এখনো ২ লাখ ৮০ হাজার গৃহহারা পরিবার রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহারা থাকবেন না। আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, নদী ভাঙন হয়, অনেকে গৃহহারা হন, অনেক মানুষ ভূমিহীন’।

পর্যায়ক্রমে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের পরিকল্পনা ও বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের আগে আমি চাই, একজন মানুষও গৃহহারা থাকবেন না’।

‘বিভিন্ন অঞ্চলে যারা একেবারে নি:স্ব তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করবো’।

গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ও আশ্রয়ন প্রকল্পে ভূমিহীনদের আবাসন তৈরির পাশাপাশি যাদের ভূমি আছে, তাদের ঘর নির্মাণে গৃহায়ন তহবিলের মাধ্যমে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতের উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

গুচ্ছগ্রামে আবাসনের সুযোগ পাওয়া মানুষগুলোর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমানত ও সুযোগকে নিজেদের ভাগ্য গড়ার কাজে ব্যবহার করবেন, খেয়ানত করবেন না’।

‘নিজে খেটে, নিজের খেয়ে, নিজের পায়ে দাঁড়াবেন- সেই মানসিকতা নিয়ে কাজ করবেন’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অভাবে পড়ে ঘরের টিন, চাল বিক্রি করে দেবেন না বা কোনো প্রভাবশালীর কারণে কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো’।

গুচ্ছগ্রামে নি:স্ব মানুষের আবাসনের পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

গৃহহীনদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার পর পরই ভূমিহীনদের মাঝে খাসজমি বিতরণ শুরু করেন। একেবারে নি:স্ব, ভূমিহীনদের মধ্যে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প শুরু করেন। নোয়াখালীতে প্রথম গুচ্ছগ্রাম করা হয়। তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেটির উদ্বোধন করেছিলেন।

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

উপকারভোগীরা গুচ্ছগ্রাম করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আবাসনের পাশাপাশি, প্রশিক্ষণ, ঋণ সুবিধাসহ সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন তারা। কয়েকজনকে খুশিতে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এমইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।