ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জেএমবি’র সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ২ সদস্য গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
জেএমবি’র সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ২ সদস্য গ্রেফতার গ্রেফতার নব্য জেএমবি’র সারোয়ার-তামিম গ্রুপের দুই সদস্য- মো. কাইয়ুম হাওলাদার ওরফে মিঠু ও মো. সেলিম

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে নব্য জেএমবি’র সারোয়ার-তামিম গ্রুপের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। এ দু’জন জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য ও বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (০২ মে) দিনগত রাত পৌনে ১২টায় ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (০৩ মে) দুপুরে গণমাধ্যমে তাদের আটকের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা এলাকার মো. কাইয়ুম হাওলাদার ওরফে মিঠু (৩২) ও রাজধানীর উত্তর মান্ডা এলাকার মো. সেলিম (৩২)।

ৠাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাকিল আহমেদ জানান, গত ৬ ও ৭ এপ্রিল ৠাবের অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড ও কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ৮ জন এবং ১৭ ও ১৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে দু’জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের দেওয়া তথ্যে মঙ্গলবার রাতে রূপগঞ্জের রূপসী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সেলিম ও মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ৠাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত কাইয়ুম হাওলাদার ওরফে মিঠু গত ৫ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন। তিনি ২০১২ সালে পিরোজপুর থাকার সময় জনৈক মামুনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হন এবং পরবর্তীতে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর ২০১৬ সালের শুরুতে সারোয়ার-তামিম গ্রুপে যোগদান করেন।

ঢাকা, লালমনিরহাট, পিরোজপুর, বাগেরহাট, গাইবান্ধা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন মিঠু। এছাড়া লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চরে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য স্থান নির্ধারণের কাজও করতেন।

গ্রেফতার অপর আসামি মো. সেলিম গত ১৫ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করে এবং জঙ্গি নেতা মুফতি মো. জসিম উদ্দিন রাহমানির কাছে যাতায়াত শুরু করে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জঙ্গিবাদে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের শুরুতে জনৈক মোনতাছিরের মাধ্যমে সারোয়ার-তামিম গ্রুপে যোগদান করেন এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন।

মুরগী ব্যবসার অন্তরালে জেএমবির অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন সেলিম। বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করে সমমনাদের ভেতর প্রচার করে আসছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে জেএমবির প্রচার কাজ চালিয়ে আসছিলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এসআরএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।