হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু সায়েব বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে হাজারীবাগের সড়ককুঞ্জ এলাকায় ১০১/বি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৌসুমীর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মৌসুমীর বাবা ওমর ফারুক ফরিদপুরের বাসিন্দা। মৌসুমী ও তার বোন সুমী আক্তার হাজারীবাগ এলাকায় ভাড়া থেকে পোষাক কারখানায় কাজ করতেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে উপ পরিদর্শক (এসআই) সায়েম বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় বখাটে নাজিম, কাওসার, মিঠু, আজিজসহ আরো ৬-৭ জন যুবক মৌসুমীকে প্রায়ই অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। আজিজ গত ৩০ এপ্রিল রাত আনুমানিক দুইটায় মৌসুমীদের বাসায় এসে অনৈতিক কাজ করে বলে এলাকায় প্রচার করতে থাকে। লোক লজ্জার ভয়ে মঙ্গলবার সে নিজের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এসআই আরো জানান, সকাল ছয়টায় সুমী তার বোনের সঙ্গে নাস্তা খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে দুপুরে তার বোন সুমি বাসায় ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকি করার পর বেলা দুইটার দিকে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৌসুমীর মরদেহ দেখতে পায়। তারপর খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযুক্ত চারজনকে আটক করা হলেও মূল আসামি আজিজ এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে প্র্রাথমিকভাবে, আটক চারজনের নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানাতে পারেননি এসআই।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৬ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
পিএম/আরএ