বৃহস্পতিবার (০৪ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
বুধবার (০৩ মে) জয়পুরহাটে প্রধান বিচারপতি ওই মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘বিচার বিভাগই মানুষের একমাত্র আস্থার স্থল।
‘প্রতিটি সরকারে কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকেন, যারা সরকারকে ভুল পরামর্শ দিয়ে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজে বাধ্য করেন। আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজের সুপারিশ করেন। কিন্তু এ বিষয়ে সরকার প্রধান যদি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করেন, তাহলে এ ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে’।
বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে আমি কোনো কথাই বলবো না। যা বলবো, তা তার সামনে গিয়েই বলবো’।
এর আগে লায়ন্স ক্লাবের দু’দিনব্যাপী ২২তম বার্ষিক ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশনের উদ্বোধনকালে সরকার ও লায়ন্স ক্লাবের মতো সংগঠন মিলেই কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে লায়ন্স ক্লাব। ১.৪ মিলিয়ন মানুষ এ ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। এ ক্লাবের সকল সদস্য অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। ১৭ হাজার লায়ন্স সদস্য সারা দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ও সেবামূলক কাজ করছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সহজে আসেনি। ৩০ লাখ মানুষের রক্তে এ স্বাধীনতা। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশ অবিচার ও অন্ধকারে নিপতিত হয়েছিল’।
‘বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাথাপিছু আয় ১৪০০ ডলারের ওপরে। ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে’।
ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর কল্পনা রাজিউদ্দিনের সভাপতিত্বে কনভেনশনে লায়ন্স সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান ইঞ্জিনিয়ার আনিসুল রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়াহিদুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন এ কে এম রেজাউল হক, কাজী একরামুদ্দিন আহমদ, স্বদেশ রঞ্জন সাহা, নাজমুল হক, মোসলেম আলী খান, শেখ কবির হোসেইন, ফজলে কাদের মকুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
কেজেড/এএসআর