বৃহস্পতিবার (০৪ মে) দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে করণীয় ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, আইনের অনেক দিক থাকে যার কোনোটা গ্রহণযোগ্য, আবার কোনোটা গ্রহণযোগ্য নয়।
বর্তমান খসড়া আইনে সাজা অতিরিক্ত হয়েছে। আমার মনে হয়, এমন আইন করা উচিত নয়, যা মালিক-শ্রমিকদের জন্য বহন করা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শাজাহান খান বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টর আইন মানে না, এ কথা ঠিক না। আইন ভঙ্গের প্রবণতা সমাজের সব সেক্টরে আছে। পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে সাধারণ মানুষ বা অন্য পেশার কোনো বিরোধ নেই।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭ -এ পরিবহন বীমা ও দুর্ঘটনা জনিত ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ খান।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইনের ৪৭ ধারায় যাত্রী, কর্মচারী ও পরিবহন এই তিনটির বিমা করার আইন করা হয়েছে। আগে শ্রমিক ও কর্মচারীর বিমার বিধান ছিলো। আপনারা জানেন আজকাল বিমা কোম্পানিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা কত কষ্ট। আবার অন্য একটি ধারায় বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় কোনো যান-মালের ক্ষতি হলে মালিক পক্ষকে ৯০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
একদিকে পরিবহন বিমার কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা সাংঘর্ষিক। পরিবহন বিমা যদি ম্যান্ডেটরি হয় তাহলে বিমা কোম্পানিকে টাকা দেওয়ার বিষয়ে ম্যান্ডেটরি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আইন বাতিলের দাবি করছি না, কিছু কিছু জায়গা সাংঘর্ষিক তা সংশোধনেরর দাবি জানাচ্ছি।
বাস-ট্রাক সমিতির সভাপতি সোহেল তালুকদার বলেন, সড়ক পরিবহন আইন -২০১৭ আইনটির কোনো উদ্দেশ্য নেই। পরিবহন সেক্টরকে ধ্বংস করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আইন করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সিপিবি'র কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, নিরাপদ সড়ক চাই (নিচসার) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এমসি/বিএস