শুক্রবার (০৫ মে) সকাল ১০টায় উপজেলা বণিক সমিতি পাবনা-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী তারা বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ফজলুর রহমান তারেক, কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ধীরেন্দ্রনাথ সাহা, ফুলবার হোসেন, রেজাউল করিম রেজা, পুলিশ পরিদর্শক ও বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মসূচি স্থগিত করে ফিরে যান অবরোধকারীরা। তবে দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় বনপাড়া পৌর কাউন্সিলর ঈমান আলী, মাঝগাঁও ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ ও সুরুজ আলীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান তারেক বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (০৪ মে) রাতে অভিযুক্ত কাউন্সিলর ঈমান আলী, আব্দুল আজিজ মেম্বার ও সুরুজ আলী মাতাল অবস্থায় এসে গোপালপুর রোডের মাথায় অবস্থিত সেলিম হোটেল ও নাজমুলের দোকানে ভাঙচুর করে। এসময় বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) দয়াল কুমার ব্যনার্জী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে দর্শকের ভূমি পালন করেন।
ইতোপূর্বে অভিযুক্তরা আরও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার এবং দয়াল কুমারকে বনপাড় থেকে প্রত্যাহার করা না হলে শনিবার (০৬ মে) থেকে সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে বড়াইগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে।
এদিকে, কাউন্সিলর ঈমান আলী ও মেম্বার আব্দুল আজিজের সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খান বাংলানিউজকে জানান, সেলিম হোটেলের মালিক সেলিম হোসেন বাদী হয়ে তিন জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এনটি