পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সংস্থা নামে একটি এনজিও তাদেরকে পুলিশের কাছ থেকে গ্রহণ করে।
শুক্রবার (০৫ মে) বিকেল ৪টায় ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত ৩ নারী হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের ফতেমা (২০), কুমিল্লার জেসমিন (১৬) ও চাঁদপুরের রুনা আক্তার (২২)।
পুলিশ ও এনজিও সূত্রে জানা যায়, ভালো কাজের কথা বলে দালালরা তাদের সীমান্ত পথে ভারতে নিয়ে যায়। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের মুম্বাই শহর থেকে পুলিশ তাদের আটক করে জেলে পাঠায়। সেখান থেকে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তারা ফেরত আসেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফেরত আসা নারীদের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এবিএম মুহিত জানান, ফেরত আসা নারীরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চান তাদেরকে আইনি সহয়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এজেডএইচ/জেডএস