শুক্রবার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সাজেকের আড়াই হাজার গ্রামবাসীর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়।
তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ মেট্রিক টন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য।
দুয়েকদিনের মধ্যেই নগদ ১০ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিক টন খাদ্য সাজেকবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এসব এলাকাগুলোতে যান চলাচলের রাস্তা না থাকায় হেলিকপ্টার সহায়তা চেয়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সৃষ্ট খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার ফলে এ সংকট এখন অনেকটা কমে এসেছে।
দুর্গম এসব প্রত্যন্ত এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী বিজিবি, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনসহ উপজেলা, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এসব প্রত্যন্ত এলাকার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
সকালে নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান সাজেকের খাদ্য সংকট পরিস্থিতির মোকাবেলায় সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করার সময় এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, সাজেকের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় চলতি মৌসুমে জুম চাষের মাধ্যমে আশানুরূপ ফলন না আসায় এ খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্য সংকট উদ্ভবের পর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য, রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৫০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৫ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আরো ১০ মেট্টিক টন খাদ্য শস্য এবং ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব এলাকার দুই সহস্রাধিক পরিবারের জন্য পরের তিন মাস বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বাঘাইছড়ির সাজেকের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা বেটলিং, শিয়ালদাহ, নিউলংকর এলাকায় সেনাবাহিনী এবং বিজিবির সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে খাদ্য সংকটে থাকা প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে খাদ্য এবং আর্থিক সহায়তা পৌঁছে যাবে।
সাজেকের প্রত্যন্ত এলাকায় সৃষ্ট খাদ্য সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সবার সহায়তা কামনা করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
আরবি/আরএ