কালবৈশাখীর পর কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে শুক্রবার (০৫ মে) বিকেলের এক পশলা বৃষ্টি নগরজীবনে আবারও স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
তবে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর, চণ্ডিপুর, কাদিরগঞ্জ, দড়িখরবোনা ও শালবাগানসহ বেশ কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিরও খবর পাওয়া গেছে।
মাঝারি বর্ষণের কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। এতে কিছুটা হলেও প্রশান্তি পেয়েছেন তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা সাধারণ মানুষগুলো।
শুক্রবার দুপুর ২টার পরই রাজশাহীর আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রোদ মুছে গিয়ে আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়। এ সময় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বর্ষণ।
এরপর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে নগরীজুড়ে। বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহীর বেশকিছু এলাকায় কয়েক মিনিট শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল পৌনে ৪টার পর থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত ৬ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ওই দিকে শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় তা রেকর্ড হয়নি। কিন্তু ব্যাপকতা না থাকলেও কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানান রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের এ জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজিব খান বলেন, এর আগে গত ৩০ এপ্রিল রাজশাহীর ওপর দিয়ে ভয়াবহ কালবৈশাখী বয়ে যায়। এরপরের দিন ১ মে রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা ছিল এ পর্যন্ত সবশেষ বৃষ্টিপাত। কয়েক দিনের বিরতির পর শুক্রবার আবার বৃষ্টি হচ্ছে।
তবে বৃষ্টির আগে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, মেঘ-বৃষ্টির এ খেলা আরও কয়েক দিন চলবে। এটি মৌসুমি বৃষ্টি। এখন অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কখনও কখনও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে। বৈশাখ মাস এভাবেই চলতে পারে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি বাংলানিউজকে বলেন, শিলাবৃষ্টির ব্যাপকতা না থাকায় এ দফায় আম গাছগুলো রক্ষা পেয়েছে। তবে যেসব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে সেসব এলাকার আম কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি শিলা বড় হয় তাহলে আমের ওপর আঘাত করবে। এতে ওই অংশটুকু ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাবে।
একটা পর্যায়ে শিলায় আঘাতপ্রাপ্ত আমগুলো গাছ থেকে ঝরে যাবে। তবে অল্প কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়ায় এর পরিমাণও কম হবে। এখন আম অনেকটায় বড় হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলোতে রাজশাহীতে শিলাবৃষ্টি হলে আমের ফলনের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান রাজশাহী কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এসএস/জিপি/জেডএস