পাল্লায় ওঠানো হলো মাছ। প্রায় ১০ কেজি ওজনের (একেকটি) দু’টো কাতল তখন পাল্লায়।
শুরুতেই প্রতি কেজি ২১০ টাকা দাম হাঁকলেন এক ব্যাপারি। দাম উঠতে উঠতে তা গিয়ে ঠেকলো ৪০০ টাকায়। শেষমেষ একেকটি কাতলের দাম ঠিক হলো ৪ হাজার টাকা। ৮ হাজার টাকায় দুটো কাতল কিনে নিলেন ব্যাপারি কামাল উদ্দিন।
সিরাজগঞ্জ-বনপাড়া মহাসড়ক হয়ে সিরাজগঞ্জ গোলচত্বর থেকে কিছুদূর পশ্চিমে গিয়েই সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাছের আড়ৎ।
প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আড়তে বেচাকেনা চলে। আবার সকাল ১০টা থেকে একটানা দুপুর পর্যন্ত আড়তে নিয়মিত পাইকারি দরে মাছ বেচাকেনা হয়।
এখানে রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার, বিগহেড, গ্রাস কার্প, পুঁটি, কই, মাগুর, শিং, পাবদা, গুলসা, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রি হয়।
পানিতে বিশেষ কায়দায় এসব মাছ তাজা রেখে বিক্রি করা হয়। এ পদ্ধতিতে মাছ বিক্রির কারণে বাজারদর কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি হয়।
রাজশাহী, নাটোর, সিংড়া, বানেশ্বর, মহারাজপুর, বিলদহ, নাজিরপুর, ধামাইকান্দিসহ দূর-দূরান্তের জেলেরা মাছ বিক্রির জন্য এ আড়তে নিয়ে আসেন। এসব মাছ তাজা অবস্থায় জেলেরা বিক্রি করেন। যা এ আড়তের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
কৃষাণ রাজবংশী, জুয়েল রানা, গোপালসহ একাধিক আড়তদার বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, এলেঙ্গাসহ দূর-দূরান্ত থেকে এ আড়তে ব্যাপারিরা মাছ কিনতে আসেন। বড় বড় মাছ তারাও বিশেষ ব্যবস্থায় তাজাভাবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আবার অনেক ব্যাপারি তাজা মাছে বরফ দেন। এতে মাছের স্বাদ ও রঙ ভালো থাকে। ফলে মাছগুলো তারা ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।
শুক্রবার পাইকারি ৫-১০ কেজি ওজনের প্রতিটি রুই কেজি ৪৫০-৫০০ টাকায়, মৃগেল ৩০০-৩৫০ টাকায়, সিলভার কার্প ২০০-২৩০ টাকায়, বিগহেড ২০০-২৩০ টাকায় বেচাকেনা হয় বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/জেডএস