সেই সঙ্গে দেশজুড়ে বিশেষ করে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বজ্রসহ প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কাও করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস নির্ধারণে সম্প্রতি একটি বৈঠক করেছে।
এর প্রেক্ষিতে ঝড় ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মে মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক-দু’টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে, যার অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এ মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন বজ্রসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় তিন থেকে চারদিন হালকা অথবা মাঝারি অথবা মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দু’টি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে) এবং অন্যান্য এলাকায় ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মৃদু এবং ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মাঝারি তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া জুন মাসের বর্ষা স্বাভাবিক থাকতে পারে বলেও ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে জুনের প্রথমার্ধে এটি বিস্তার লাভ করবে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দু’টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, কৃষি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৭ মে পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন উজ্জ্বল সূর্যকিরণ থাকবে সাড়ে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা। আর বাষ্পীভবন হবে সাড়ে তিন মিলিমিটার থেকে সাড়ে চার মিলিমিটার। এ সময় দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিসহ বাতাসের গতিবেগ উঠে যেতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিম বঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অবস্থায় আসছে পাঁচদিন বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
ইইউডি/এসআই