মাস দু’য়েক আগে ইমাম আলী তৃতীয় বিয়ে করায় স্ত্রী হেলেনার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। প্রায়ই তাদের মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
শুক্রবার (০৫ মে) দুপুরে ঝগড়ার একপর্যায়ে ইমাম আলী বটি দিয়ে হেলেনার ঘাড়ে আঘাত করেন। তারপর হেলেনার বড় ভাই মিলন ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেলেনা মারা যান।
রাজধানীর পল্লবী থানার কালাপানি এলাকার এক নম্বর বস্তির একটি টিনশেড ঘরে দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন ইমাম আলী ও হেলেনা। দুপুরে সেই ঘরেই বটি দিয়ে হেলেনাকে কুপিয়ে পালানোর সময় প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়েন ইমাম আলী। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা।
হেলেনার বাবার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায়। ১২-১৩ বছর আগে ইমাম আলী ও তার বিয়ে হয়।
হেলেনার বড় ভাই মিলন বাংলানিউজকে জানান, ইমাম আলী দুই মাস আগে একটি বিয়ে করেন। এ নিয়ে ঝগড়ার জেরে হেলেনাকে প্রাণ দিতে হলো।
তার ছোট ভাই রতন বলেন, মিলন ভাইও ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকেন। খবর পেয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তিনি গিয়ে আপাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রতন আরো বলেন, দায়ের কোপে আপার একটা কানও কেটে গেছে। ঢাকা মেডিকেলে আনার পর ডাক্তার রক্ত আনতে বলে। রক্ত নিয়ে গেলে ডাক্তার বললো রক্ত আর লাগবে না। বোনটা দুনিয়াতে আর নেই।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বাংলানিউজকে বলেন, ইমাম আলীকে আটক করা হয়েছে। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। বিয়ে নিয়ে ঝগড়ার জেরেই তিনি প্রথম স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া, অন্য কোনো কারণ আছে কী না তদন্তের পর জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, হেলেনার পরিবারের লোকজন এসে ইমাম আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। হেলেনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/এসআই