মৃত্যুর এক বছর পর বৃহস্পতিবার (০৪ মে) বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি হলেন তিনি।
এদিকে, মৃত ব্যক্তির নামে মামলা হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা হতভাগ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গভীররাতে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক চন্দ্র পাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে সাত নম্বর আসামি করা হয়েছে শুভকে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আজিজুল হাসান দুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী সোয়েব উদ্দিন মিন্টু, মো. ইকরামুল হক হেলাল, নূরুল ইসরাম লিটন, শরিফুল আনাম, মো. শকিল আহম্মেদ, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কামরুল ইসলাম. মো. ইয়াসিনের নাম উল্লেখ ছাড়াও মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৬, তাং-৪/৫/১৭।
মামলার এজাহারে এসআই দীপক চন্দ্র পাল উল্লেখ করেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিরা থানার মোড় সংলগ্ন সড়কে সংঘবদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা, মারধর, গাড়ি ভাঙচুরসহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান শুক্রবার (০৫ মে) রাত সাড়ে ১১টায় বাংলানিউজকে বলেন, ভুলক্রমে শুভর নাম মামলার এজাহারে চলে এসেছিল। পরে এজাহার পরিবর্তন করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজিজুল হাসান দুলু বলেন, মামলার এজাহারের কপি তুলে পুলিশের এই কাণ্ড দেখে আমি হতবাক হয়েছি। এই মামলায় সাত নম্বর আসামি করা হয়েছে শুভকে। যিনি কিনা এক বছর আগে আমাদের ছেড়ে গেছেন। কিন্তু মৃত্যুর পরও মুক্তি পাননি শুভ। এর চেয়ে কষ্টদায়ক আর কী হতে পারে?
বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এমআরএম/এসআই