শুক্রবার (৫ মে) ফাতেমার বাবা সিরাজুল ইসলাম মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শিশুটির বাড়ি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি উপজেলার বয়রা নদীরপার এলাকায়। ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তৃতীয় সে।
তার বাবা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সাত-আট মাস আগে তিনি ফাতেমাকে মিরপুর-২, ব্লক-এ, ২ নম্বর রোডের ২৩ নম্বর বাসায় খলিলুর রহমান ও আয়শা বেগমের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেন। ওই সময় তারা ফাতেমাকে নাতনির মতো করে লালন-পালন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ ভালো লাগে না বলে পাঁচ মাস পর ফাতেমা বাড়িতে চলে যায়। এর মাস খানেক পর আয়শা তাকে আবার নিয়ে আসেন।
এরপর ২ মে দুপুরে ফাতেমার কাছ থেকে একটি কাচের গ্লাস ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাকে ধমকান এবং এর জন্য শাস্তি পেতে হবে বলেও হুমকি দেন। এরপর রাত ৮টার দিকে রান্না ঘরে ফাতেমার গায়ে গরম পানি ঢেলে দেন তিনি। পরে তারাই ফাতেমাকে স্থানীয় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক সোহান জানান, শিশুটির দেহের ৬ শতাংশ (দুই হাত, মাথা ও পেটের কিছু অংশ) ঝলসে গেছে। তাই চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলার আসামি গৃহকর্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৪ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এসআই