এ উপলক্ষে শনিবার (০৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীতে থাকা দেশটির সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি আদর্শের সম্পর্ক। দুই দেশের নীতি ও আদর্শ প্রায় এক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তাদের অবদান কোনোদিন ভোলার নয়। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানকে বৃত্তি দেওয়া দুই দেশের একাত্মতার প্রতীক।
রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিত চট্টপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি ও রাজশাহী কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঘোষণার পর ভারত সরকারের শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেছিলেন। স্নাতক দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করেন। যেসব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার কম, যাচাই-বাছাই শেষে এমন ৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে ২৪ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এসএস/এএটি/জেডএস