এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ডিলার ও তার লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার। পরে ঘটনার জন্য দায়ী ডিলার ও তার লোকজনকে অভিযুক্ত করে থানাসহ বিভিন্ন দফরে অভিযোগ দেওয়া হয়।
শনিবার (০৬ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা জানান, সুবিধাভোগী শতাধিক কার্ডধারী গরিব ব্যক্তির অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত-সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির তালিকায় ১ হাজার ৪৬৫ জনের নাম চূড়ান্ত করেন চেয়ারম্যান ও মেম্বররা। এরমধ্যে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৬৭ জন। এসব চাল বিক্রির জন্য খাদ্য বিভাগ রেজাউল করিমকে ডিলার নিয়োগ করেন।
গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার মহিশুরা বাজার এলাকায় কার্ডধারীদের মাঝে এপ্রিল মাসের চাল বিক্রি করা হয়। কিন্তু শতাধিক সুবিধাভোগী তাদের কার্ডের চাল না পেয়ে স্থানীয় মেম্বার আব্দুস ছালামের শরণাপন্ন হন।
মঙ্গলবার (০২ মে) মেম্বার ডিলারের কাছে কার্ডধারীদের চাল না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিলার ও তার লোকজন মেম্বারকে লাঞ্ছিত করেন। পরে এ ঘটনায় মেম্বার আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে ডিলার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কার্ডধারী বাবলু, ইউনুস আলী, মঞ্জুরুল, নার্গিস ও মোমেনা বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (০৪ মে) এপ্রিল মাসের চাল না পাওয়ায় তারা ডিলারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ট্যাগ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ডিলার রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, পারিবারিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় এপ্রিল মাসের চাল বিক্রির দায়িত্ব ছেলেকে দিয়েছিলাম। সেক্ষেত্রে অসাবধানতাবশত দুই একটি কার্ডের চাল নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এমবিএইচ/ওএইচ/আরআই