সোমবার (৮ মে) বেলা ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, আটক জেএমবির সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে জুনায়েদ চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণের আস্তানায় ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরির রাসায়নিক দ্রব্য কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করতেন।
সেসব আস্তানা থেকে কিছু কিছু আইইডি বা বিস্ফোরক সরবরাহের ক্ষেত্রে জেএমবি’র নারী সদস্যদের ব্যবহার করা হতো—জানান মুফতি মাহমুদ খান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের এ পরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনির পরিবারের ওই আত্মীয় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানো জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের আশ্বাস রফিকুলকে দিয়েছিলো। শুধু তাই নয়, আরাকানের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা নাশকতা কর্মকাণ্ড ঘটনোর জন্য এ রফিকুলের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিলো।
তিনি বলেন, আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং এর সঙ্গে যারাই জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, তদন্তের স্বার্থে আমরা তা প্রকাশ করছি না।
আশুলিয়া থেকে রফিকুল ও ইমরানকে আটকের খবর সকালে জানানো হয়। সেসময়ও বলা হয়, দুই জঙ্গি সদস্য ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরির রাসায়নিক সরবরাহ করতেন। তাদের কাছ থেকে বিপুল বিস্ফোরক ও আইইডি তৈরির সরঞ্জামাদিও জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসজেএ/জিপি/এইচএ
** জেএমবির বোমা তৈরির রাসায়নিক সরবরাহকারী ২ সদস্য আটক