নিহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, সে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষয় জিপিএ-৪.৭৩ নম্বর পেয়েছে। তবে তার আশা ছিলো গোল্ডেন এ-প্লাস।
সোমবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর রোড ৩৫, বি-ব্লক, ২৩ নম্বর বাসার তৃতীয় তলা থেকে নোভার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছাত্রীর চাচা নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নোভা পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলো। ক্লাসে সব সময় ভালো রেজাল্ট করতো। তার আশা ছিলো গোল্ডেন এ-প্লাস পাবে। তবে পরীক্ষায় সে ৪.৭৩ পায়। তাই ফল প্রকাশের পর থেকে মন খারাপ করে থাকতো।
নাসির উদ্দিন আরো বলেন, আত্মহত্যার আগে ৭ মে (রোববার) রাত ২টায় নোভা ঘুম থেকে উঠে পাশের রুমে তার বাবা নজরুল ইসলামকে মিষ্টি খাওয়ায়। এরপর আবার নিজের রুমে ঘুমাতে যায়। সকালে তার বাবা হাঁটতে যাওয়ার সময় নোভাকে ডাকাডাকি করলেও সে দরজা খোলেনি। পরে দরজা ভেঙ্গে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান।
উত্তরা পশ্চিম থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নোভার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
নোভার গ্রামের বাড়ি কিশোরঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার কাওলায়। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। উত্তরায় সে পরিবারের সঙ্গে থাকতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এজেডএস/জিপি/জেডএম