ঢাকা, বুধবার, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এক স্থানে ১৬ সেবা পেতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস আইন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৭
এক স্থানে ১৬ সেবা পেতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস আইন মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক

ঢাকা: একই জায়গায় থেকে ১৬টি সেবা পেতে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার’ স্থাপনের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৮ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটা নতুন আইন। আমাদের দেশে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ অনেকটা সহজীকরণ করতে আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে।



তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ‘গ্লোবালি ডুয়িং বিজনেস’ ক্যাটাগরিতে আমাদের অবস্থান খুবই পিছনের দিকে, ১৮৮টি দেশের মধ্যে ১৭৬ নম্বর। সরকারের পলিসি হলো হলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটাকে ১০০’র নিচে, অন্তত ৯৯-এ নিয়ে আসা। সেটা করতে গেলে আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো করতে হবে, বিনিয়োগবান্ধব করতে হবে। তার জন্য একটি শর্ত ছিল আইনটি প্রণয়ন করা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উত্থাপন করা আইনটি ছোট জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওয়ানস্টপ সার্ভিস কীভাবে সমন্বিতভাবে পরিচালিত হবে সেটার আইডিয়া দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ওয়ানস্টপ সার্ভিস কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠানকে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষ।

‘কর্তৃপক্ষ এ কাজের জন্য কেন্দ্রীয় ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, যেখানে যেভাবে প্রযোজ্য। ’

এখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১৬ ধরনের সেবা দেয়। এগুলো হলো- ট্রেড লাইসেন্স, জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, পরিবেশ ছাড়পত্র, নির্মাণ পারমিট, বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস সংযোগ, পনি সংযোগ, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ, বিস্ফোরক লাইসেন্স, কোয়ালিটি অব সার্টিফিকেট। এভাবে ২৭টি ক্রাইটেরিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সেবার কথা বলা হয়েছে। তবে সাধারণভাবে ১৬টি সেবা দেওয়া হয়। এগুলো যেন এক জায়গায় বসে পেতে পারে সেজন্য আইনটি করা হয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, নাম ছাড়পত্র দেবে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, নিবাসী ও অনিবাসী ভিসা দেবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা দেবে বেজা বা হাইটেক পার্ক, অর্থনৈতিক এলাকা বা রপ্তানি এলাকা দেবে বেপজা, ওয়ার্ক পারমিট দেবে বেপজা বা বেজা, ট্রেড লাইসেন্স দেবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি করপোরেশন, পৌরসভা। ভূমি অধিগ্রহণ ভূমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন, ভূমির ক্রয় ও লিজ রেজিস্ট্রেশন করবে রেজিস্ট্রেশন বিভাগ, নামজারি করবে ভূমি অফিস, পরিবেশগত ছাড়পত্র দেবে পরিবেশ অধিদফতর, নির্মাণ পারমিট দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন দেবে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

‘যে কোনো সংস্থা এক জায়গায় সেবা পাবে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট সব সংস্থার লোক থাকবে। চারটি সংস্থা কো-অর্ডিনেট করবে। স্থানীয় ও বিদেশি সবার জন্য এ সেবা। ওয়ানস্টপ সার্ভিসগুলো অঞ্চল বা কেন্দ্রীয় দুই জায়গাতেই থাকবে।

আইনটি সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশিদের জন্য ভিসা সহজিকরণসহ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

সেবা প্রাপ্তির সময়সীমা বিধিতে নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এজন্য বিধি প্রণয়ন করা হবে। টাইম ফ্রেম কেউ অমান্য করলে তা হবে বেআইনি এবং তার বিরুদ্ধে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে বিনিয়োগ বোর্ডে ওয়ানস্টপ সার্ভিস ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ওটা বেশি কার্যকর হয়নি। কারণ আইনি কাঠামো ছিল না। এখন কেউ না করলে তাকে আইনের আওতায় আনা যাবে।     
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।