সোমবার (০৮ মে) দশম জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সদস্য সফুরা বেগমের টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
সংসদে দেওয়া তথ্যানুযায়ী ভিক্ষুকদের এবং রাস্তাঘাটের ভাসমান ভিক্ষুকদের জেলা পর্যায়ে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে খুলনা জেলায় ১২০ জন ভিক্ষুককে (৪৮ জনকে চায়ের দোকানের সরঞ্জাম, ৩৫ জনকে ভ্যানগাড়ি, ৩৭ জনকে সেলাই মেশিন) পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলায় ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, ১৪০ জনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে ৩টি জোনে বিভক্ত করে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জোনগুলো হচ্ছ জোন-১ বিমানবন্দর এলাকা, হোটেল রেডিসন, জোন-২, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকা, জোন-৩ হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা, বেইলি রোড।
ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা শহরে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, মাইকিং এবং প্ল্যাগ স্ট্যান্ডের মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে উদ্ভুদ্ধকরণ, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে বলে জানান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ