সোমবার (০৮ মে) দুপুরে দিকে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে তানোর থানা পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, গ্রাম্য সালিশে জুতা পেটা করায় অপমাণ সহ্য করতে না পেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক গ্রাম্য সালিশে আক্তার হোসেনকে জুতা পেটা করেন। এর আগে কান ধরে উঠবস এবং থু থু চাটানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনায় অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি সিধাইড় গ্রামের ওই বাগানে গিয়ে গাছের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আবদুস সালাম বলেন, তাস খেলাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৩০ অক্টোবর সিধাইর গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তাকে (আক্তার হোসেন) গ্রাম্য সালিশে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
ওই ঘটনায় আক্তারের স্ত্রী হিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে আসামি করে ওই দিনই একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। এখন তার পরিবারের দাবি এ ঘটনার পর থেকেই গ্রামের কারও সঙ্গে কথা বলতো না আক্তার। সোমবার (০৮ মে) সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই আম বাগানে গিয়ে সবার অগোচরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে ওসি আরও বলেন, যেহেতু ঘটনাটি অনেক দিন আগের সেহেতু পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে আপাতত এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি আবদুস সালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসএস/জিপি/জেডএস