ঢাকা, বুধবার, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রাজস্ব আয় বাড়লেও কমেছে প্রবাসী আয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৭
রাজস্ব আয় বাড়লেও কমেছে প্রবাসী আয়

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। একইসঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। রাজস্ব আদায়, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়লেও একই সময়ে আমদানি ব্যয়, প্রবাসী আয় কমেছে।

সোমবার (৮ মে) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনের সমাপনী দিনে ‘বাজেট ২০১৬-১৭: দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সংসদে বাজেটের অর্ধবার্ষিক অগ্রগতির প্রতিবেদনটি সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।



প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাণিজ্যের ভারসাম্যের ঘাটতি রয়েছে ঋণাত্মক। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির প্রভাবে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি আর প্রবাস আয় প্রবাহের দুর্বলতা চলতি হিসাবে ঘাটতি সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করছে। তবে মূলধনী হিসাব ও আর্থিক হিসাবে উল্লেখযোগ্য উদ্বৃত্ত থাকায় সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথমার্ধে ত্বরান্বিত হয়েছে অর্থনীতির চাকা। স্থিতিশীল রয়েছে সামষ্টিক অর্থনীতির সব খাত। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় সব দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশে বর্তমানে যে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সরাসরি তার সুফল ভোগ করে চলেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। গত অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ শতাংশ; অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময়ে গতবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, সরকারি আয় বেড়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ।

এছাড়া রপ্তানি আয় বিগত অর্থবছরের প্রথমার্ধের ১৬ হাজার ৮৪ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৬ হাজার ৭৯৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমদানি ব্যয় ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২ দশমিক ৬ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১৫ থেকে ৫ দশমিক ০৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রবাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিয়োগ হলেও প্রবাস আয়ে গতিশীলতা আসেনি। এ সময় প্রবাস আয়ের প্রবাহ ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া বাণিজ্যিক ভারসাম্যে ঘাটতি বাড়ায় চলতি হিসাবের ভারসাম্য ঋণাত্মক ছিল। এ সময়ে চলতি হিসাবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশা করা যায়, মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিযোগে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।