সোমবার (০৮ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে উৎপাদিত গলদা চিংড়ির ৩৭ দিন বয়সী রেণু মৎস্যচাষীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রথম দফায় ৩৪ হাজার পোনা আবাদের জন্য চাষীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, মৎস্য প্রকল্প রংপুরের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও মৎস্য উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কলিমুল্লা প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের শুরুতে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে লোনা পানির গলদা চিংড়ির রেণু পোনা এনে মিঠা পানিতে সহনীয় করে মা মাছ তৈরির কাজ শুরু হয়। এরপর মা গলদা চিংড়ির ডিম থেকে রেণু পোনা তৈরি করা হয় মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে। বিশেষ ব্যবস্থায় ৩৭ দিন পরে কৃষকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো রেণু পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
চলতি বছর গলদা চিংড়ির ৩৭ দিন বয়সী ৩ লাখ ও ৪৫ দিন বয়সী ২৫ হাজার পোনা মৎস্যচাষীদের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মৎস্যচাষী আব্দুল মামুন ও তাহমিদুর রহমান তুহিন বাংলানিউজকে জানান, মিঠাপানির গলদা চিংড়ি দরিদ্রপীড়িত কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের জন্য যেন স্বপ্ন। গলদা চিংড়ির চাহিদাও যেমন বেশি, তেমনি বাজার মূল্যও সবসময় বেশি থাকে। মিঠা পানিতে এ চিংড়ি চাষ করে কম সময়ে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। এলাকার সাধারণ মানুষও এর স্বাদ নিতে পারবেন অনায়াসেই।
কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্থাপক মুসা কলিমুল্লা বাংলানিউজকে জানান, মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে আমরা সফলতা পেয়েছি। প্রচুর পরিমাণে মা রেণু উৎপাদন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে গলদা চিংড়ির পোনা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা সোয়া ৩ লাখ নির্ধারণ করা হলেও আমরা এরইমধ্যে ৫ লাখ পোনা উৎপাদন করেছি। কৃষকরা আগ্রহী হলে অধিক হারে পোনা উৎপাদন করা হবে। এসব রেণু পর্যায়ক্রমে চাহিদানুযায়ী মৎস্যচাষীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বদ্ধ ও মুক্ত উভয় জলাশয়ে মিঠাপানির গলদা চিংড়ি চাষ সম্ভব হওয়ায় এ অঞ্চলের মৎস্যচাষীরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। মাত্র ৬/৭ মাসের ব্যবধানে চিংড়ি বাজারজাত করা যাবে। এতে এ জেলার অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে অনেকাংশে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
আরআর/জেডএস