সোমবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে এসব তথ্য জানান পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দিদার আহমেদ।
তিনি জানান, অভিযান চলাকালে সাতটি গ্রেনেড এবং একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান শুরু করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিট। এসময় মূলত বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট আস্তানায় ঢুকে সেখানে থাকা গ্রেনেড ও বোমা নিষ্ক্রিয় করে। এ অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘সাবটেল স্প্লিট’।
এদিকে, রোববার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। ওই দিন সেখান থেকে আটটি বোমা, একটি নাইন এমএম পিস্তলসহ শামীম হোসেনকে নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শামীম ওই বাড়ির মালিক মৃত শরাফত হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মেধাবী ছাত্র শামীম পড়েন ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। কিছুদিন হলো তার বাড়িতে অপরিচিত লোকজনকে যাতায়াত করতে দেখেছেন স্থানীয়রা।
এ কথা স্বীকার করে তার মা সুফিয়া বেগম জানান, বাড়িতে অনেকে এলেও তিনি শুধু চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা আবদুল খালিদ নামে একটি ছেলেকে চেনেন।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে সদর উপজেলার লেবুতলা ও শনিবার রাতে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের দুই বাড়িতে অভিযান চালায় সিসিটিসির দু’টি দল। হঠাৎপাড়ায় অভিযান চলাকালে নিহত হন নব্য জেএমবি’র সদস্য তুহিন ও আব্দুল্লাহ। রোববার রাতে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট অভিযানের পর শেষ হয় হঠাৎপাড়ার অভিযান। সেখানে চারটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয় এবং দু’টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। লেবুতলা ও হঠাৎপাড়ার আস্তানায় চালানো অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘সাবটেল স্প্লিট’।
অভিযানে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ, এডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সিসিটিসি, বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসআই