সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলার চিৎলা গ্রামে এসব আম পাড়া হয়। কেমিক্যাল মিশিয়ে জেলার বাইরে পাঠানোর সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম জামাল আহমেদ অভিযান চালিয়ে আমগুলো জব্দ করেন।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করে আমগুলো বিনষ্ট করা হয়। এসময় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এম এ জামাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, চিৎলা গ্রামে অপরিপক্ব আম ভেঙে তাতে কেমিক্যাল মিশিয়ে পাচারের উদ্দেশে ট্রাকে তোলা হচ্ছে- এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে আমের মালিক পালিয়ে গেলেও আমভর্তি ট্রাকটি জব্দ করা হয়। ১০২ ক্যারেটে আনুমানিক ৬৫ মণ আম ছিলো। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এনে আমগুলো বিনষ্ট করা হয়।
তিনি জানান, চলতি মাসের ৪ তারিখে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের ডেকে মতবিনিময় সভা করা হয়। সভায় ১৫ মে গোপালভোগ, ২০ মে ল্যাংড়া, হিমসাগর ৩০ মে এবং আম্রপালি ৩০ জুনের পর ভাঙার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া আমে কোনো ধরনের কেমিক্যাল মেশানো থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেওয়া ছিলো। কিন্তু সরকারি আদেশ অমান্য করে এক শ্রেণীর অসাধু আমচাষি ও ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ব আম ভেঙে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাইরের জেলাগুলোতে পাঠানোর চেষ্টা করছেন।
এসব অসাধু আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানান জামাল আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
এএ