বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। পরে শুরু হয় ভারি বর্ষণ, চলে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত।
নিহত লিয়াকত মুক্তারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি ঝড়ের মধ্যে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ে মধ্যে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ওই স্কুল শিক্ষক গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল ও ৯ মে রাজশাহীতে দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। প্রথম দফা কালবৈশাখীতে পদ্মায় নৌকা ডুবিতে দুই শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া কালবৈশাখীর ছোবলে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। রাজশাহীর বাইরে কাঁচা ঘরবাড়িসহ আম ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার পর ভারি বর্ষণে মহানগরীর সাহেব বাজার, উপশহর, বর্নালীর মোড়, আমবাগান, কলাবাগান, কোর্ট হড়গ্রাম, ষষ্টিতলা এলাকায় পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও মুহূর্তের মধ্যেই হাঁটু পানি জমে যায়। এতে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে কর্মস্থল ফেরত মানুষকে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ৪৫ কিলোমিটার। সোয়া এক ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে শিলাবৃষ্টি হয়নি। আকাশে মেঘ আছে। তাই আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনের প্রচণ্ড গরমের পর ঝুম বৃষ্টিতে জনজীবনে খানিকটা স্বস্তি নেমে এলেও কালবৈশাখী ঝড়ে আরেক দফা ক্ষতি হলো এ অঞ্চলের।
বাংলদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এসএস/আরআইএস/এসও