গত মৌসুমে মাথা পিছু একজন শ্রমিকের মজুরি ছিল চারশ' থেকে পাঁচশ' টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ছয়শ' থেকে সাতশ' টাকা।
কিন্তু নিয়মিত ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় দ্রুত ফসল তোলার তাগিদ আছে গৃহস্থের। তাই বাধ্য হয়েই বাড়তি দরে শ্রমিক নিয়োগ করছে তারা। এতে তো বার বার বৃষ্টি আর ঝড়ের হানা থেকে রক্ষা করে ফসল উৎপাদনেই গুণতে হয়েছে বাড়তি অর্থ, তারপর ভালোই ভুগিয়েছে রোগ-বালাই। আর এখন শ্রমিকদের বাড়তি মজুরির দাবি। এমন পরিস্থিতিতে তাই ফলন ভালো হলেও লোকসানে পড়ার শঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।
অতিরিক্ত খরচে সাত বিঘা জমিতে ধান চাষ করে চিন্তিত চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্ব বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক রাকিবুল ইসলাম। বাংলানিউজকে বলেন, মাঠ থেকে ধান কেটে দ্রুত ঘরে তুলতে হবে। কিন্তু শ্রমিকরা মজুরি দাবি করছে বেশি।
তবে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা থেকে ধান কাটতে আসা মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এতোদূর থেকে কাজ করতে এসেছি। বর্তমানে বাজারের সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। তাহলে আমাদের মজুরি বাড়বে না কেন?
দিনাজপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার চলতি বোরো মৌসুমে জেলার এক লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৯০ হাজার মেট্টিক টন। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, পাকা ধান কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই কেটে ঘরে তোলা জরুরি। নইলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এএটি/জেডএম