ঢাকা, শনিবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

ঝুঁকিভাতা চান দুদক কর্মকর্তারা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
ঝুঁকিভাতা চান দুদক কর্মকর্তারা

ঢাকা: আর সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো ঝুঁকি ভাতা চান  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এজন্য এরইমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে আসন্ন অর্থবছর থেকে ঝুঁকি ভাতা হিসেবে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে দুদক।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সবাই ঝুঁকিভাতা পান। এলিট ফোর্সখ্যাত র‌্যাব তাদের মূল বেতনের ৭০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা পাচ্ছেন।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপিসহ আরো কয়েকটি সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু দুর্নীতিবাজদের ধরতে ঝুঁকি থাকলেও দুদক কর্মকর্তারা কোনো ঝুঁকিভাতা পান না। শুধু তাই নয়, কোনো রেশনও তারা পান না। আসামি ধরে এনে রাখার জন্য একটি হাজতখানার প্রয়োজন হলেও সেটি নেই। আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য ট্রাকিং ব্যবস্থার প্রয়োজন, গোয়েন্দা ইউনিট প্রয়োজন। কিন্তু এসবের কিছুই নেই দুদকে।

ঝুঁকিভাতার গুরুত্ব তুলে ধরে দুদকের এক পরিচালক বলেন, সম্প্রতি সিলেটসহ দেশের কয়েকটি স্থানে দুদক কর্মকর্তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। যে হামলায় ‍দুদক কর্মকর্তারা লাঞ্ছিত হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক হামলারও শিকার হয়েছেন। শুধু এই বিষয়টি নয়, অনেক সময় বড়বড় অপরাধীদের ধরতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হয়। যেখানে দুদক কর্মকর্তাদের প্রাণনাশের প্রশ্নটি উঠে আসে। তাই স্বাভাবিকভাবেই যেখানে ঝুঁকি আছে সেখানে ঝুঁকিভাতা না থাকলে কেন একজন অফিসার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করবেন?

দুদক চেয়ারম্যান মো. ইকবাল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সালের শেষের দিকে ঝুঁকি ভাতা-সংক্রান্ত একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ এখন অবধি আলোর মুখ দেখেনি। এজন্য সম্প্রতি আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দুদক কর্মকর্তাদের ঝুঁকিভাতার দাবি করে একটি চিঠি দিয়েছি। আগামী অর্থবছর থেকে সেটা বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করেছি।

সরকারি প্রায় সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঝুঁকিভাতার থাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে একজন অফিসারের জীবনহানি ঘটলে পরবর্তীতে এই ঝুঁকিভাতা তার পরিবারকে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তাই এই সুবিধাটি দুদক কর্মকর্তারা পেলে কাজের গতিশীলতা আরো বাড়বে।

১৯৫৭ সালের ১ এপ্রিল গঠন করা হয় দুর্নীতি দমন ব্যুরো। কাজে গতিশীলতা আনতে ব্যুরো বিলুপ্ত করে বিচারপতি সুলতান হোসেনের নেতৃত্বে ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর গঠন করা হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে সরকারি সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এসজে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।