বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পেনাল কোড এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তদন্ত নিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে যে যে বিষয় দেখা প্রয়োজন আমরা সেগুলো জানার চেষ্টা করছি।
মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি পেলে দুই তরুণীকে আইনের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, সেই রাতের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হলেও এ আইনে ধর্ষণের কোনো সংজ্ঞা দেওয়া নেই। পেনাল কোডের ধর্ষণ সংজ্ঞা অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু বিচার হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। তদন্তে যা যা উঠে আসবে তা আমরা অন্যান্য মামলার মতোই আমলে নেব। '
এ মামলায় গ্রেফতার অন্যান্য আসামিদের কাছ থেকে এখনো ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
গ্রেফতার নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।
‘রেইন ট্রি হোটেল’ ধর্ষণের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করলে তাদের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, হোটেলটি ধর্ষণের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকলে ৩০ ধারায় অভিযুক্ত হবে। বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/আরআই