এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শুধু গাংনী পৌর এলাকা নয়, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের অসহায় মানুষ চিকিৎসা সেবা, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বৃত্তি ও কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা মাতারা সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, সমাজ থেকে পিছিয়ে পড়া বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের কর্মদক্ষ করে তুলতে বর্তমানে বিভিন্ন ট্রেডে চলছে প্রশিক্ষণ।
দারিদ্র দূরীকরণ, ভূমিহীনদের উন্নয়ন, বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজের মানুষকে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষকে সামনে রেখে ২০১২ সালে সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী গাংনী পৌর সভার বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গাংনী পৌর এলাকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের মাঝে প্রতি বছরে তিন বার ৪০ কেজি করে চাল, শাড়ী-লুঙ্গিসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে। গাংনী পৌর এলাকার ১৫শ’ ছাত্র ছাত্রী এ সংস্থার অর্থায়নে শিক্ষা জীবন চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়াও এরইমধ্যে, গাংনী পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের কবরস্থান ও মসজিদ, গাংনী কেন্দ্রীয় কবরস্থান ও মসজিদ, ১ নং ওয়ার্ড বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থান ও মসজিদ এবং মাদ্রাসার উন্নয়নসহ বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
খাজিদা-আশরাফ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মেয়র আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, তালাক প্রাপ্তা ও অসহায় নারীদের কুটির শিল্পের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি গ্রামে ৪০ জন অসহায় নারীকে বাঁশ-বেত, পুঁথির ব্যাগ তৈরি, পাট দিয়ে নিত্য ব্যবহার্য পণ্য ব্যাগসহ ঘরের বিভিন্ন পণ্য তৈরি, হাঁস মুরগী পালন করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ সংস্থার মাধ্যমে গাংনী পৌর এলাকাকে ডিজিটালাইজড করতে শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ওয়াইফাই জোন সৃষ্টি করে সার্ভিস দেয়া হবে। এছাড়া চিকিৎসা সেবা দিতে বিনা খরচে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয়া হবে।
শিশিরপাড়া গ্রামের সামদানী , মিরাজুল ইসলাম ও নয়ন আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের গ্রামের লোকজন কবরস্থানের সমস্যায় দীর্ঘদিনের। খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা সে সমস্য থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও জায়গা কিনে গোরস্থানের স্থান বাড়াতে পেরেছি।
একই কথা জানালেন, গাংনী উত্তরপাড়া এলাকার জিনারুল ইসলাম ও রমজান আলী।
তারা বলেন, খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশন গোরস্থানের জমি কিনে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দিয়েছে। এছাড়া গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, গাংনী হাফেজ খানার ৬টি বাথরুম নির্মাণ ও জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে সংস্থাটি। পৌর এলাকার ১০ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে সংস্থার পক্ষ থেকে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম